
Mahadev Saha
Bangladeshi poet
Date of Birth | : | 05 August, 1944 (Age 81) |
Place of Birth | : | Sirajganj, Bangladesh |
Profession | : | Poet |
Nationality | : | Bangladeshi |
Social Profiles | : |
Facebook
|
মহাদেব সাহা (Mahadev Saha) বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীকালের একজন অন্যতম প্রধান কবি। তিনি তার সাহিত্যিক অবদান দিয়ে সব ধরনের পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। তিনি রোম্যান্টিক গীতিকবিতার জন্য জনপ্রিয়। তার কবিতা অপরিশ্রুত আবেগের ঘনীভূত প্রকাশে তীব্র। তিনি জীবিকাসূত্রে একজন সাংবাদিক ছিলেন, এবং দীর্ঘকাল দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৬ থেকে তিনি কানাডা প্রবাসী।
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
মহাদেব সাহা ১৯৪৪ সালের ৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া গ্রামে পৈতৃক বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম গদাধর সাহা এবং মাতা বিরাজমোহিনী সাহা। সাহিত্যানুরাগী পিতা গদাধর সাহার বাড়িতে আসত মাসিক বসুমতী সংবাদ, দৈনিক লোকসেবক, বাই উইকলি অমৃতবাজার পত্রিকা। কলকাতা থেকে আনা হতো পিএম. বাগচী ও গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা।
শিক্ষা জীবন
মহাদেব সাহা বগুড়ার ধুনট হাইস্কুল থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। উচ্চমাধ্যমিকে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে তিনি বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। তিনি আজিজুল হক কলেজে বাংলা সাহিত্য বিষয়ে অনার্স শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ১৯৬৭ সালে অনার্স পাস করে রাজশাহীতে আসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এমএ পাসের পর তিনি কিছুদিন ইংরেজি বিষয়ে গবেষণায় নিযুক্ত হন কিন্তু কবিতা লেখার অদম্য আগ্রহ তাকে গবেষণা শেষ করার আগেই ঢাকায় নিয়ে যায়। তিনি জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের সহায়তায় ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সাপ্তাহিক পূর্বদেশ পত্রিকায় যোগদান করেন।
কর্ম জীবন
সাপ্তাহিক পূর্বদেশ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে ১৯৬৯ সালে মহাদেব সাহার কর্মজীবন শুরু হয়। জীবনব্যাপী তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত থেকেছেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
Quotes
Total 42 Quotes
বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই, মন ভালো নেই; ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা সারাদিন ডাকি সাড়া নেই, একবার ফিরেও চায় না কেউ পথ ভুলকরে চলে যায়, এদিকে আসে না আমি কি সহস্র সহস্র বর্ষ এভাবে তাকিয়ে থাকবো শূন্যতার দিকে?
তুমি মুখ তুলে তাকাওনি বলে রৌদ্রদগ্ধ হয়ে গেছে হৃদয়ের ঘন বনাঞ্চল বর্ষণ-অভাবে সেখানে দিয়েছে দেখা ব্যধি ও মড়ক, একমাত্র তুমি মুখ তুলে তাকাওনি বলে এই গ্লানি এই পরাজয়
তোমাকে ভুলতে চেয়ে আরো বেশী ভালবেসে ফেলি,, তোমাকে ছাড়াতে গিয়ে আরো বেশী গভীরে জড়াই যতই তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই দূরে,,ততই তোমার হাতে বন্দী হয়ে পড়ি,, তোমাকে এড়াতে গেলে এভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে যাই!!
কাগজ আবিষ্কারের পূর্বে মানুষ প্রেমের কবিতা লিখে রেখেছে আকাশে। সেই ভালোবাসার কবিতা এই বৃষ্টি, এই ভরা বর্ষা
যদি জানি একবার দেখা পাবো তাহলে উত্তপ্ত মরুভূমি অনায়াসে হেঁটে পাড়ি দেবো, কাঁটাতার ডিঙাবো সহজে, লোকলজ্জা ঝেড়ে মুছে ফেলে যাবো যে কোনো সভায় কিংবা পার্কে ও মেলায়
তোমার শূন্য পথের দিকে তাকাতে তাকাতে দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেলো, সব নদীপথ বন্ধ হলো, তোমার সময় হলো না - আজ সারাদিন বিষাদপর্ব,সারাদিন তুষারপাত... মন ভালো নেই, মন ভালো নেই
এই শূন্য ঘরে, এই নির্বসনে কতোকাল, আর কতোকাল! আজ দুঃখ ছুঁয়েছে ঘরবাড়ি, উদ্যানে উঠেচে ক্যাকটাস্ত কেউ নেই, কড়া নাড়ার মতো কেউ নেই, শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস, এই দীর্ঘ পদধ্বনি
তোমার বুকের মধ্যে আমাকে লুকিয়ে রাখো আমি এই মাটি ছেড়ে, মাটির সান্নিধ্য ছেড়ে, আকাশের আত্মীয়তা ছেড়ে, চাই না কোথাও যেতে, কোথাও যেতে
কবিতার প্রিয় পান্ডুলিপি জুড়ে হঠাৎ কেমন ধূসর কুয়াশা নেমে আসে, প্রেমিকার উষ্ণ হাত মনে হয় যেন নিরুত্তাপ, অনুভূতিহীন এ কী শীমপ্রাসাদে আবার জমে বরফের স্তুপ।
আমি প্রেমকে শুধু অনুভব করি না, আমি প্রেমে বাঁচি, প্রেমেই নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাই।