photo

Rani Hamid

Bangladeshi chess player
Date of Birth : 14 July, 1944 (Age 81)
Place of Birth : Sylhet, Bangladesh
Profession : Chess Player
Nationality : Bangladeshi

রাণী হামিদ (Rani Hamid) একজন বাংলাদেশী দাবাড়ু। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক দাবা মাস্টার। রাণী হামিদের পুরো নাম সৈয়দা জসিমুন্নেসা খাতুন ডাক নাম রাণী। বিয়ের পর তিনি স্বামীর নাম যুক্ত করে রাণী হামিদ হন। ক্রীড়াজগতে তিনি রাণী হামিদ নামেই পরিচিত। ১৯৮৫ সালে তিনি ফিদে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার খেতাব পান। তিনি ৩ বার ব্রিটিশ মহিলা দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন॥ রাণী হামিদের সন্তান কায়সার হামিদ ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের খ্যাতনামা ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন।


জন্ম ও শিক্ষাজীবন

রাণী হামিদের জন্ম ১৯৪৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলায়। বাবা সৈয়দ মমতাজ আলী পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা ও মা মোসাম্মাৎ কামরুন্নেসা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে রাণী হামিদ তৃতীয়। চট্টগ্রাম নন্দনকানন গার্লস হাইস্কুলে ১৯৫২ সালে তিনি সরাসরি ২য় শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে বাবার বদলির সাথে সাথে স্কুল বদল হয় এবং তিনি কুমিল্লা মিশনারি স্কুলে ৪র্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণী পড়েন কুমিল্লার ফয়জুন্নেসা গার্লস হাই স্কুলে। ৮ম ও ৯ম শ্রেণী পার করেন রাজশাহীর একটি স্কুলে। সিলেট বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যেই ১৯৫৯ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এম এ হামিদকে বিয়ে করেন। রাণী বিয়ের পরে ইডেন কলেজ থেকেই প্রাইভেট ডিগ্রি পরীক্ষা দেন এবং কৃতকার্য হন।


কর্মজীবন

রাণী হামিদ পেশাদারী দাবা খেলা শুরু করেন বিয়ের পরে।তিনি আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম অর্জনকারী প্রথম বাংলাদেশী মহিলা দাবাড়ু। খেলাধুলার প্রতি তার স্বামী মোহাম্মাদ আব্দুল হামিদের আগ্রহ ও উৎসাহ থাকায় তিনি দাবা খেলার প্রতি জোর দেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কোয়ার্টারে থাকার সময় জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন ডঃ আকমল হোসেনের প্রতিবেশী ছিলেন তিনি। তার সহযোগিতায় তিনি ১৯৭৬ সালে প্রথম মহসিন দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তার সাথে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী দীপ্তি ও বীথিসহ কয়েকজন নারী দাবা খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে নবদিগন্ত সংসদ দাবা ফেডারেশন নারীদের জন্য প্রথমবারের মতো আলাদাভাবে দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। পরবর্তীতে ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালেও একই আয়োজন হয় এবং তিনবারেই রাণী হামিদ চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৭৯ সনে ঢাকায় উন্মুক্ত দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে রাণী হামিদ চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর থেকেই তিনি একের পর এক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং কৃতিত্ব অর্জন করেন। অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রথমবারের মতো তিনি ১৯৮১ সালে ভারতের হায়দারাবাদে প্রথম এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করেন। তিনি কমনওয়েলথের একজন শীর্ষ দাবা খেলোয়াড়। আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার, জাতীয় ও ব্রিটিশ নারী দাবা চ্যাম্পিয়ন। তিনি এ পর্যন্ত তিনবার ব্রিটিশ নারী দাবা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনি ছিলেন দাবা অলিম্পিয়াডে ৫ম মহিলা যিনি যোগ্যতার ভিত্তিতে অলিম্পিয়াডে জাতীয় পুরুষ দলের হয়ে খেলেছেন। ১৯৮৯ সনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত কাসেদ আন্তর্জাতিক মহিলা দাবায় যৌথ চ্যাম্পিয়ন হন রাণী হামিদ। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছয়বার জাতীয় মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হন। এছাড়া ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯২, ১৯৯৬,১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০১,২০০৪ ও ২০০৬ এ জাতীয় মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হন। ২০০৬ পর্যন্ত তিনি মোট ১৫ বার জাতীয় মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছেন। কমনওয়েলথ দাবা চ্যাম্পিয়নশীপ’২০১৫তে রাণী হামিদ বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণ পদক জয় করেন। দাবার বিশ্বকাপ খ্যাত “দাবা অলিম্পিয়াড”এ তিনি অসংখ্যবার বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণ করে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।


পুরস্কার

  • ব্রিটিশ মহিলা দাবা প্রতিযোগিতা (১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৮৯)
  • স্বর্ণ পদক, কমনওয়েলথ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৫
  • বেগম রোকেয়া পদক-২০২৪

Quotes

Total 0 Quotes
Quotes not found.