More Quotes by Sunil Gangopadhyay
কারোর আসার কথা ছিল না কেউ আসেনি তবু কেন মন খারাপ হয় - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আমি এমনভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে। আমার তো কারুকে দুঃখ দেবার কথা নয়। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাশের বাড়ির সেই মেয়েটি যদি গল্প পড়তে ভালো না বেসে ক্রিকেট খেলা ভালোবাসতো, তবে আমি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় না হয়ে সুনীল গাভাস্কার হতাম। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আত্মগোপন করতে গিয়ে কিছুদিন পর অনেকে আত্মপরিচয়টাই ভুলে যায়।
পিতৃশ্রাদ্ধ করতে প্রতাপ শেষবার গিয়েছিলেন মালখানগরে। প্রতাপ শক্ত চরিত্রের মানুষ, সবাই তাকে তেজস্বী পুরুষ হিসেবে মানে, কিন্তু সেবার তিনি খুব কান্নাকাটি করেছিলেন। বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেল, মাটি থেকে উপড়ে তোলা হলো এক বর্ধিষ্ণু বৃক্ষের শিকড়। পূর্ববাংলার এই নদীময় প্রান্তর, এই মিষ্টি বাতাস, খেজুর রসের স্বাদের মতন ভোর, ঠাকুমার গল্পের আমেজমাখা সন্ধ্যা, এসব আর দেখা হবে না। এরপর থেকে কলকাতায় ভাড়াটে বাড়ির অন্ধকার ঘুপচি ঘরে চির নির্বাসন। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আগের জন্মে ছিলাম আমি ছপটিওয়ালা এই জন্মে ঘোড়া নিজের পিঠে চাবুক মেরে ছুটছি, আমার ভ্রমণ বিশ্বজোড়া। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তারপর ওরা হাত ধরে চুপ করে বসে রইলো । আর কোনো কথা নেই, সমস্ত কথার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে । ওরা বসেই রইলো । ঘাট ক্রমশ নির্জন হয়ে আসছে । বাতাস বইছে বেশ জোরে । বজরাগুলো ও ফিরে যাচ্ছে । সবাই ঘরে ফিরছে । এই দুজনের যেন কোনো ঘরবাড়ি নেই, কথাও ফিরতে হবেনা । এরকম একটি অনন্তকালের দৃশ্য হয়ে ওরা বসেই থাকবে। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
এইটুকুনি শহর, সেটা যখন তখন ফুরোয় চেনা মানুষ, ভেজাল কথা, জন্ম-মৃত্যু-মিলন সব কিছুই তো মাপ মতন, রৌদ্র-বৃষ্টি-শীতও শুধু চায়ের দোকানটিতে কয়েকজন ছদ্মবেশী রাখাল। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড় বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টি নীলপদ্ম! তবুও কথা রাখেনি বরুনা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ এখনো সে যে-কোনো নারী - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ইংরেজের এই ন্যায়বিচারের প্রতীক ঐ সুপ্রিম কোর্টের চূড়া। লোকে এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ভক্তিভরে সেদিকে তাকায়। এখনো কেউ জানে না যে বিচার ব্যাবস্থার এই আড়ম্বর ইংরেজ জাতির একটি বিলাসিতা মাত্র।প্রয়োজনের সময় এইসব বিলাসিতা ছেঁটে ফেলতে তারা একটুও দ্বিধা করে না। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়