#Quote

আমার বলতে ইচ্ছে করছিল, মুকু, ভালবাসা বোঝো? তারপরেই মনে হল, প্যানপ্যানে শোনাবে। ভালবাসা শব্দটাই ভালবাসার শত্রু। ভালবাসা একটা ভাবমিশ্রিত, সেবা, সাহচর্য, অবস্থিতি, সহ্যশক্তি। হাত ধরে নীরবে হাঁটা। ওটা বোধের ব্যাপার, বলার নয়।

Facebook
Twitter
More Quotes by Sanjib Chandra Chattopadhyay
আচ্ছা, বলো তো ধর্মরাজ,পৃথিবীর একমাত্র খাঁটি জিনিস কী?শত্রুতা।
জীবন তো পুষে রাখার জিনিস নয়, জীবন কে উড়িয়ে দিতে হয় পাখির মতো । কত দেশ, কত বন, উপবন, নদ, নদী, সাগর, মহাসাগর, পাহাড়, পর্বত, জীবন জীবিকা, অ্যাডভেঞ্চার ।
সব বড় বড় মানুষেরই ছোট ছোট একটা শুরু থাকে। সেই হাফপ্যান্ট পরে স্কুলে যাওয়া। পেটাই হওয়া। নিলডাউন। দু’কান ধরে বেঞ্চের ওপর দাড়ানো। অভাব, দুঃখ, কষ্ট কত কী খেতে ইচ্ছে করে, পয়সা নেই। কত কী পরতে ইচ্ছে করে, পয়সা নেই। তারপর টিউশনি করে পড়ার খরচ তোলা। তারপর মা সরস্বতীর কৃপায় সে-কী পরীক্ষার ফল। ফাস্ট, ফ্লাস্টক্লাস, গোল্ড মেডেল। ডব্লু বি সি এস, আই এ এস। জজ, ম্যাজিষ্ট্রেট, ব্যারিস্টার। এই জজসায়েব, মেজমামার মুখে যা শুনেছি, হারিকেনের আলোয়, চালাবাড়িতে রাত জেগে লেখাপড়া করেছেন, আর দিনের বেলায় কলেজ করেছেন, ছাত্র পড়িয়েছেন।
স্ত্রীরা কখনােই পােষ মানে না। নিজেকেই পােষ্য করে নিতে হয়। সুখে থাকার কায়দা।
মন বলবে এভারেস্ট ধরাে, দেহ ধরে ফেলবে। দেহ তখন ছ’ফুট নয়, ছ’মাইল, ছ’লক্ষ মাইল।
বাল্যকালে আমার মনে হইত যে, ভূত প্রেত যে প্রকার নিজে দেহহীন, অন্যের দেহ-আবির্ভাবে বিকাশ পায়, রূপও সেইপ্রকার অন্য দেহ অবলম্বন করিয়া প্রকাশ পায় ; কিন্তু প্রভেদ এই যে, ভূতের আশ্রয় কেবল মনুষ্য, বিশেষতঃ মানবী , কিন্তু বৃক্ষপল্লব নদ ও নদী প্রভৃতি সকলেই রূপ আশ্রয় করে । সুতরাং রূপ-এক , তবে পাত্রভেদ ।
আচ্ছা, বলো তো ধর্মরাজ, পৃথিবীর একমাত্র খাঁটি জিনিস কী? শত্রুতা। শত্রুর শত্রুতায় কোনও ভেজাল নেই। বাঁশ দেবে তো দেবেই। পুরো ব্যাপারটাই নিখাদ একমাত্র ভেজাল কোনটা? ভালোবাসা। পৃথিবীর খাঁটি গাওয়া ঘিয়ের মতোই পুরোটা ভেজাল।
দুঃখ যত গভীর, ততই বাক্যের অতীত।
চলো, ওপরে চলো। বলাইবাবু, আমরা তো আছি! এক যায়, আর এক থাকে। মানুষের মতো ভুলতে শেখো। এই দেখো, একে একে আমার তো সবাই চলে গেছেন। যান না, আমি ধীরে ধীরে সব ভুলে যাব। একে একে নতুন চরিত্র এসে আমার চারপাশে ঘিরে বসবে। মাইফেল চলবে দিনের পর দিন। তারপর আবার একদিন সব ভোজবাজি! শুন্য কার্পেট, ছেঁড়া ফুলের মালা, ঘুঙুরের দানা, বাতি ম্রিয়মাণ, ভোরের পানসে আলো, ঘুলঘুলিতে তন্দ্রাতুর পায়রার ডানার ঝটাপটি, মৃতের নিশ্বাসের মতো ফিকে বাতাস। ছিল সব, নেই কিছু। নদীর এক পাড় ভাঙে, আর এক পাড় গড়ে। চলো বলাইবাবু, ওপরে চলো। তুমি আমার কোলে উঠে চলো। বর্ষার দুপুরের স্মৃতি। মাতামহ একেই বলতেন-সব ধুস।
এ বাড়িতে কাউকে খাওয়াতে হলে তাকে একেবারে খাইয়ে শেষ করে দেওয়া হয়। খেতে খেতে তিনি একসময় কেঁদে ফেলেন। হাত জাড় করে বলতে থাকেন, “বিশ্বাস করুন, আমি আর পারছি না। আমার পেটে আর জায়গা নেই! আমি পেট ফেটে মরে যাব!