#Quote
সাময়িক আনন্দ ছাড়া আরেক দিক থেকে লােকনৃত্যের সার্থকতা। স্পষ্টতর; সেটা হচ্ছে নৃত্যের রূপশিক্ষার দিক, নতুন নৃত্য-প্রেরণায়। যার প্রভার কার্যকর হবে। বিশেষ করে আজ যখন আমরা জানি। যে শিক্ষায় শরীরের ছন্দশিক্ষার মূল্য প্রথমিক। এই ছন্দশিক্ষায় আমরা যত বেশি লােকনৃত্য দেখতে পারি এবং স্থানকালপাত্র ভেদে ও ক্ষমতানুসারে তার থেকে পাঠ নিতে পারি, ততই লাভ। তাছাড়া, আমরা এবং আমাদের ছেলেমেয়েরা কেন নিছক সৌন্দর্য দর্শনের। সুযােগ পাব না?
Facebook
Twitter
More Quotes by Bishnu Dey
বিচার দেয় খণ্ডের অনুভূতি, এক সময়ে একটি জিনিসের এক রকম জ্ঞান, কিন্তু বিবেকে পাই গোটার অনুভূতি, এক সময়ে এক জিনিসের বা বহু জিনিসের বহুল রূপের জ্ঞান এক বহু বহুধা’র সমন্বয় সম্মিলন হইতেছে বিবেকের জ্ঞান।
আপন সমস্যাকে শুধু নিজের মনের গহুর নিষ্ক্রান্ত জীব না ভেবে সে যে ইতিহাসব্যাপী সমস্যারও অংশ এই উপলব্ধির নিয়ত চর্চা লেখকের প্রস্তুতির সহায়।
জগতে যে একটি মাত্র সত্য বা সুন্দর বা মঙ্গল আছে তাহা নয়; একটি বিশেষ সত্য, সুন্দর, মঙ্গল যে আর সকলের উপরে, তাহাও নয়। আছে অনেক সুন্দর মঙ্গল প্রত্যেকেই নিজের নিজের ধর্মে মহান।
কবিতা তাে লেখাই হয় কাজের শব্দের প্রায় অবচেতন অর্থাৎ খনিকটা ব্যক্তির বাইরে নিজস্ব তাড়নায়। ভাষার প্রকাশ্য সত্তা শক্তি পায় কবিতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কথার এই চেতন-অবচেতন সঞ্চারিত ধ্বনি ফল্গুস্রোতে।
অঙ্গে রাখিনা কারোই অঙ্গিকার? চাঁদের আলোয় চাঁচর বালির চড়া । এখানে কখনো বাসর হয় না গড়া? মৃগতৃষ্ণিকা দূর দিগন্তে ডাকি? আত্মাহুতি কি চিরকাল থাকে বাকি?
শান্তি অন্তরের ইন্দ্রিয়কে, বাহিরের ইন্দ্রিয়কে উদার প্রসারিত করিয়া ধরে, আর এইজন্যই সেখানে আসিয়া ধরা দেয় অন্তরের অসীমের স্বাচ্ছন্দ্য। শান্তির মধ্যেই গাঢ় হইয়া জমিয়া উঠে একটা আত্মস্থ সামক্ষ্য শান্তি স্বচ্ছতা দৃষ্টিকে লইয়া চলে গভীর হইতে গভীরে।
কবিদের আদি অর্থ ছিল ঋষি। কিন্তু এখন কবিকে আবার ফিরে আর্য চেতনায় উঠতে হবে নবযুগের নব সৃষ্টির জন্য। জীবনের সাধনায় যে ঋষি ব্ৰহ্মবিৎ ব্ৰহ্মভূত শিল্পের রচনায় তিনিই হবেন পরম কবি।
শিশু স্বভাবতই কৌতূহলী অর্থাৎ অনুসন্ধিৎসু, জিজ্ঞাসু, তাহাকে ছাড়িয়া দিতে হইবে, চালাইয়া লইতে হইবে এই জিজ্ঞাসার পথে। শুধু ভিতর হইতে যে জিজ্ঞাসা আপনা হইতে আসে, তাহাতেই কিন্তু আবদ্ধ থাকিলে চলিবে না, শিশুর মনে ক্রমে নূতন নূতন জিজ্ঞাসাও তুলিয়া দিতে হইবে। অজানা অপরিচিত জিনিস তাহার চোখের মনের সম্মুখে ধরিয়া দিতে হইবে।
চোরাবালি ডাকি দূর দিগন্তে, কোথায় পুরুষকার? হে প্রিয় আমার, প্রিয়তম মোর! আযোজন কাঁপে কামনার ঘোর অঙ্গে আমার দেবে না অঙ্গীকার?
সমালোচনা এখন বিজ্ঞাপনের মূর্তি ধারণ করেছে। তার থেকে বোঝা যায় যে, যাতে বাজারে বইয়ের ভালোরকম কাটতি হয় সেই উদ্দেশ্যে আজকাল সমালোচনা লেখা হয়ে থাকে নারী বাদ।