#Quote

আমি যাচ্ছি চলে, কোনো দিন হয়তো আর আসবো না। তবে যেটুকু নিয়ে গেলাম, তার প্রতিদান আমি দিতে পারবো না।

Facebook
Twitter
More Quotes by Shamsur Rahman
কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি। সেই কবে শিশু রাতে ঘুম পাড়ানিয়া গান গেয়ে আমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না আজ মনেই পড়ে না।
আমাকে লুকিয়ে ফেলো চোখের পাতায় বুকের অতলে কিংবা একান্ত পাঁজরে আমাকে নিমেষে শুষে নাও চুম্বনে চুম্বনে।
যখন কৃষক কাস্তে হাতে ফসলের যৌবনের উদ্ভিন্ন উল্লাস দেখে মাতে, তখন মহান সেই পুরুষের বিপুল আনন্দধ্বনি ঝরে ফসলের মাঠে।
যারা গণহত্যা করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক পশু সেই সব পশুদের।
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ? আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?
স্বাধীনতা তুমি রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার। স্বাধীনতা তুমি মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী। স্বাধীনতা তুমি অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক। স্বাধীনতা তুমি বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ। স্বাধীনতা তুমি চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ৷
অম্লীল মানুষের শরীরের কোনো জিনিসই না৷ ওটা কীভাবে ব্যবহৃত হবে সেটা হলো অশ্লীল।
জীর্ণ দেয়ালের কানে বলি ; দেয়াল আমাকে তুমি একটি কবিতা দিতে পারো ? পুরোনো দেয়াল বলে শ্যাওলা-ঢাকা স্বরে, এই ইঁট সুরকির ভেতর যদি নিজেকে গুঁড়িয়ে দাও, তবে হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা !
প্রত্যাশার বাইরেই ছিল ব্যাপারটি। রোজকার মতোই টেবিল ঘেঁষে পুরোনো চেয়ারে আরামে ছিলাম বসে, ঘড়িতে তখন আমি কি না-লেখা কোনও কবিতার পঙ্‌ক্তি মনে-মনে সৃজনে ছিলাম মগ্ন? একটি কি দুটি শব্দ হয়তো-বা ভেসে উঠছিল আমার মানস-হ্রদে। আচমকা চোখে পড়ে ঘরে একটি প্রজাপতির চঞ্চলতা।
তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিলো পিতামাতার লাশের উপর।