#Quote
More Quotes by Ahmed Sharif
বাণী বা বার্তা প্রদানকারীকে খুন করা, কিন্তু বাণী বা বার্তাকে মোটেও নয়।
পীড়নের মাধ্যমে যে প্রশান্ত, আতঙ্ক-ত্রাস, সন্ত্রাস-সংহার মাধ্যমে যে সমাজবদ্ধ-প্রদেশিক প্রশান্তির কথা কিছু অধ্যাত্মবাদী কল্পনা করে থাকে, তা কবরের শান্তিপূর্ণ অবস্থার সাথে উপমেয়
পড়াশুনায় জ্ঞান বৃদ্ধি হয়, স্বভাব গঠিত হয় না। পুঁথিগত পাঠের প্রভাব বিষয় মূলক কাজের নিপুণতা, হৃদয় ও মানসিক অবস্থার চালিকা শক্তি নয়। পুঁথিগত জ্ঞান যেন জলের মতো পাতলা পদার্থ, যে ভাণ্ডারে নিবিষ্ট হয়ে থাকে, সেই ভাণ্ডারেই আকৃতি পায়, অথবা তা সুলেমানি আংটির মনিবের উদ্দেশ্য পূরণের সাহায্যকারী মাত্র। ব্যক্তিগণ পুঁথিগত বিদ্যার আজ্ঞাবহ হয় না, বিদ্যাকে আজ্ঞাবহ করে বিশেষ লক্ষ বা উদ্দেশ্য সম্পাদনের কাজে লাগায়। এই তরেই জ্ঞান শক্তিমত্তা রীতি নয়।
মনোনয়ন বা ভোটাধিকার ব্যবহার সমস্ত অসুবিধার মীমাংসা করে দেবে। এসব যারা চিন্তাভাবনা করে, তারা মূর্খের জায়গায় বসবাস করে। মনোনয়ন ক্ষমতায় যাবার একটা কার্যপদ্ধতি ব্যতীত আর কিছুই নয়।
এই বিশ্বভবন ব্যাপী আদিম সমাজে মানুষজনের হৃদয়ে ও চিন্তনে, কাজে ও কর্মে পূর্বরাগ পেয়েছে প্রাধান্য। পূর্বরাগের নাম তাই পুরনো রস।
আইনের যদি নিজের শাসনটাই প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে মানুষ দেশের আইনের উপর বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা উভয় হারিয়ে ফেলবে।
বয়:সন্ধি থেকে মধ্যবয়স্ক বয়স পর্যন্ত ব্যাক্তি মানেই মনে ইচ্ছা বাসনার সহজবোধ্য থেকে কঠিনবোধ্য কার্য চলতে থাকে। কর্মেই ইচ্ছা মানুষের অত্যাধিকতম অধিকার। সে অধিকার মতপ্রকাশ পায় ভালোবাসা-সৌন্দর্য, অনেক সময় অনুভূতি, আদর ও আগ্রহরূপে।
ছলনা, শঠতা-ধূর্ততা, খপ্পর-জালিয়াৎ, অসৎ-অকর্ম, জুলুম, ঘৃনা-পরদ্বেষ, নিন্দা, প্রভৃতি সময় ও কালের সামাজিক অসুবিধার তরে শিক্ষিত ব্যক্তিগণই তো বিশেষ ভাবে দায়ী।
পূর্বপুরুষের অতুন সম্পদের আস্ফালনে ভিক্ষাজীবী বংশধরের লাভ? - আহমদ শরীফ
নিষ্ঠাহীন আস্তিক হচ্ছে মক্কর ও মোনাফিক। তার থেকে নৈতিক জীবনসমূহ ক্ষতি হয়, কিন্তু নাস্তিকেরা সাধারণত বিবেকবান, বুদ্ধিজীবী, যুক্তিবাদী, কল্যাণকামী ও নৈতিক সাহসে ঋদ্ধ। এজন্য নাস্তিক থেকে নৈতিক বা বৈসয়িক ক্ষতির কোন আশঙ্কা থাকে না।