#Quote
সাহিত্য একটা তীব্র নেশা, রক্তের সঙ্গে মিশে যায়, যাকে একবার এই নেশা ধরে, তার আর অন্য কোনো গতি থাকে না। আবার এ কথাও হয়তো ঠিক, অনেক লেখুই এক এক সময় এই নেশা থেকে মুক্তি পেতে চায়! সাহিত্য সৃষ্টিতে খ্যাতি-কীর্তি-অর্থের সম্ভাবনা আছে বটে, কিন্তু তার জন্য লেখককে ভেতরে ভেতরে কত কষ্ট যে সহ্য করতে হয়!এক একসময় রক্ত ক্ষরণের মধ্যে মিশে যায় শব্দের বিষ, তা অন্যদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
Facebook
Twitter
More Quotes by Sunil Gangopadhyay
ঘটনার চেয়ে রটনার রূপ অনেক বেশী বিচিত্র এবং গতিবেগও প্রচন্ড। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মানুষই মানুষকে বাঁচায়, মানুষই মানুষকে মারে। মানুষই হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে, আবার মানুষই এই বিভেদের রেখা মুছে ফেলতেও পারে।
তারপর ওরা হাত ধরে চুপ করে বসে রইলো। আর কোনো কথা নেই, সমস্ত কথার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। ওরা বসেই রইলো। ঘাট ক্রমশ নির্জন হয়ে আসছে। বাতাস বইছে বেশ জোরে। বজরাগুলো ও ফিরে যাচ্ছে। সবাই ঘরে ফিরছে। এই দুজনের যেন কোনো ঘরবাড়ি নেই, কথাও ফিরতে হবেনা। এরকম একটি অনন্তকালের দৃশ্য হয়ে ওরা বসেই থাকবে। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মন ভাল নেই মন ভাল নেই মন ভাল নেই কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায়। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আত্মগোপন করতে গিয়ে কিছুদিন পর অনেকে আত্মপরিচয়টাই ভুলে যায়। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বাঙালিরা ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করে, ধর্ম সংস্কারের ব্যাপারে কেউ কিছু বললেই গেল গেল রব তোলে, কিন্তু এই বাঙ্গালিরাই ব্যক্তি জীবনে ধর্মের প্রায় কোন নির্দেশই মানে না। সততা, পবিত্রতা, সেবা এই সব ব্যাপারে তারা প্রায় অধার্মিক। বাঙালিরা খুব পরের সমালোচনা করে, পরনিন্দা করে কিন্তু আত্মসমালোচনা করে না। বাইরে খুব উদার মত প্রচার করে, নিজের পরিবারের মধ্যে অতি রক্ষনশীল। খবরের কাগজে তর্জন গর্জন দেখলে মনে হবে খুব সাহসী, আসলে অত্যন্ত ভীরু। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তুমি তো আমারই শুধু, দূর থেকে দেখা শুকনো চুল, ভিজে মুখ, করতলে মসৃণ চিবুক তুমি নারী অহঙ্কার তোমাকে মানায় না– যে তোমাকে দেখে, সেই তোমাকে সুন্দর করে দ্রষ্টা যে, ঈশ্বরও সে। তোমার নিঃসঙ্গ রূপ মেশে বাতাসের হাহাকারে। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বিশ্বাসে-শ্রদ্ধায়-ভক্তিতে কেউ যখন নিমগ্ন থাকে তখন তাকে দেখতে বড় ভালো লাগে। চোখ বুজে কেউ ধ্যান করছে,এই দৃশ্যটা দেখলে আমার এখনও শ্রদ্ধা হয়, সে যারই ধ্যান করুক না কেন।
স্তব্ধ আঁধারে কিছুই যায় না দেখা হে আকাশ তবু ঊষার হৃদয় জ্বালো কোথায় গেল সে দৃষ্টি-পাগল একা খুঁজতে সে কোন আঁধার পারের আলো।
দুঃখই কবিতার জননী। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়