#Quote

কবিতা তাে লেখাই হয় কাজের শব্দের প্রায় অবচেতন অর্থাৎ খনিকটা ব্যক্তির বাইরে নিজস্ব তাড়নায়। ভাষার প্রকাশ্য সত্তা শক্তি পায় কবিতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কথার এই চেতন-অবচেতন সঞ্চারিত ধ্বনি ফল্গুস্রোতে।

Facebook
Twitter
More Quotes by Bishnu Dey
কিন্তু যোগীর ক্ষেত্র আরো বিস্তৃত ও বস্তুগত—কারণ যোগীর প্রয়াস প্রাণে ও দেহে অধ্যাত্মের আলো প্রজ্বলিত করা। কবি এই প্রয়াসের আরম্ভ হতে পারেন। সহায় হতে পারেন কিংবা শেষে জয়ের প্রকাশ বা ঘোষণাও হতে পারেন, কিন্তু কবি যোগীকে সরিয়ে তার স্থান গ্রহণ করতে পারেন না—যোগী হতে গেলে যে কবি হতেই হবে তা নয়।
লােকনৃত্যের প্রেরণা ও প্রয়ােগ অনেকখানি নির্ভর করে তার সামাজিক উপলক্ষে। শহুরে মঞ্চের উপরে অনেক নৃত্যই মানায় না, অধিকন্তু দর্শকরা তার প্রেরণায় অংশ নিতে অক্ষম।
যাকে এর ভঙ্গিতে আকস্মিক বা এলােমেলাে ঘটনা মনে হয়, আর এক দিক থেকে তাই স্ট্যাটিস্টিকাল বা সংখ্যাবিজ্ঞানের নিয়মে প্রকাশিত।
লাঙল ফলায় চেতনাকে করাে উর্বর তবে তাে ফলবে জ্ঞান-বিজ্ঞানে মনের ফসল, তবে তাে গড়বে যন্ত্র হাতের দরদে সচল।
মহাকাব্যের যুগ চলিয়া গিয়াছে, আমরা আধুনিকেরা বলিয়া থাকি। কারণ দিই এই যে, বাহ্য ঘটনা-পরম্পরার দিকে শিল্পী আর মন দিতে পারেন না, আধুনিক শিল্প অন্তর্মুখী, তিনি বলিতে চাহেন ভিতরের জগতের রহস্যের কথা তাই আজকাল হইতেছে বিশেষভাবে গীতিকাব্যের যুগ। আরো একটা কারণ এই, মহাকাব্য রচনা করতে প্রয়োজন চিত্তের মধ্যে যে অবসর, যে স্থৈর্য-ধৈর্য, যে টানা দম তা আধুনিকের নাই।
শব্দের অর্থের ছন্দের স্বরের দ্বন্দ্বে রূপান্তর চাই, শব্দে শব্দে আপতিক ভেদাভেদ অতিক্রমে কবিতায় কবিতায় স্বাতন্ত্রের অনন্য ও অন্যোন্যের যােগাযােগে অর্থের বিন্যাস।
শান্তি অন্তরের ইন্দ্রিয়কে, বাহিরের ইন্দ্রিয়কে উদার প্রসারিত করিয়া ধরে, আর এইজন্যই সেখানে আসিয়া ধরা দেয় অন্তরের অসীমের স্বাচ্ছন্দ্য। শান্তির মধ্যেই গাঢ় হইয়া জমিয়া উঠে একটা আত্মস্থ সামক্ষ্য শান্তি স্বচ্ছতা দৃষ্টিকে লইয়া চলে গভীর হইতে গভীরে।
চোরাবালি ডাকি দূর দিগন্তে, কোথায় পুরুষকার? হে প্রিয় আমার, প্রিয়তম মোর! আযোজন কাঁপে কামনার ঘোর অঙ্গে আমার দেবে না অঙ্গীকার?
আপন সমস্যাকে শুধু নিজের মনের গহুর নিষ্ক্রান্ত জীব না ভেবে সে যে ইতিহাসব্যাপী সমস্যারও অংশ এই উপলব্ধির নিয়ত চর্চা লেখকের প্রস্তুতির সহায়।
লৌকিক সংস্কৃতির আকর্ষণ যেন জীবন্ত মানুষকে আমাদের জাদুঘরের সামগ্রী না করে তােলে।