দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যের পর্যায়ে থাকবে—এমন একটি বিশ্বের কথা কল্পনা করো। দেখবে একসময় তা সত্যিই হয়ে যাবে - ড. মুহাম্মদ ইউনূস

---

আজও আমরা দারিদ্র্য ইস্যুতে গুরুত্ব দিই না, কারণ ক্ষমতাবানরা তুলনামূলকভাবে এর দ্বারা অস্পৃশ্য থাকে। বেশিরভাগ মানুষ এই বলে নিজেদেরকে এই সমস্যা থেকে দূরে রাখে যে যদি দরিদ্ররা কঠোর পরিশ্রম করে তবে তারা দরিদ্র হবে না।

---

প্রচলিত প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করুন যদি কোন কিছু বুঝতে না পারেন তাহলে ভয় পেয়ে যাবেন না। এটা মনে করবেন না যে কিছু করার জন্য আপনাকে অনেক বুদ্ধিমান হতে হবে। আমাদের মতো বোকা মানুষরাও এমন কাজ করেছে যা কাজে দিয়েছে। এটাই সব থেকে মজার বিষয়। প্রচলিত প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করতে ভয় পেয়েন না। প্রচলিত ব্যাঙ্কগুলো আমাকে সবসময় বলেছে দরিদ্র মানুষদেরকে ঋণ দেয়া সম্ভব নয়, কারণ তাদের ঋণ ফেরত দেয়ার ক্ষমতা নেই। আমি এটা মিলিয়ন বারের চেয়েও বেশি শুনেছি। আমি ভাবলাম, এটা কি আসলেই ব্যাঙ্কগুলোর বলার কথা নাকি দরিদ্রদের বলার কথা যে আসলেই ব্যাঙ্কগুলো মানুষের জন্য কাজ করে কিনা। তাই আমি তারা যা করছে তার উল্টোটাই করলাম। সুতরাং বোকার মতো এবং উল্টা দিকে কাজ করা খারাপ বিষয় নয়।

---

আপনার জীবনের উদ্দেশ্যকে পুনরায় আবিস্কার করুন জীবনের উদ্দেশ্য টাকা উপার্জন নয়, নিজের এবং অন্যের জন্য পরিপূর্ণ সুখ আর আনন্দের ব্যবস্থা করা। আজকের যুবকদের তাদের সৃষ্টিশীলতা দিয়ে এমন এক পৃথিবী তৈরী করা উচিত যেখানে কেউ বেকার,গরিব এবং রাষ্ট্রের ভাতার উপর নির্ভরশীল থাকবে না।

---

গরীবরা নিজেরাই দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়তে পারে। আমাদের যা করতে হবে তা হল আমরা তাদের চারপাশে যে শিকল রেখেছি তা থেকে তাদের মুক্ত করা!

---

আমি বিশ্বাস করি যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করার উপর জোর দেওয়া নীতিগুলি অনুসরণ করার আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয় যা জনসংখ্যাকে নিজের যত্ন নিতে দেয়।

---

মানসম্পন্ন শিক্ষার অ্যাক্সেস আমাকে আমি যে বাংলাদেশী গ্রামে বড় হয়েছি তার বাইরেও পৌঁছাতে সক্ষম করেছে।

---

দারিদ্র্য হল সমস্ত মানবাধিকারের অনুপস্থিতি। নিদারুণ দারিদ্র্যের দ্বারা সৃষ্ট হতাশা, শত্রুতা ও ক্ষোভ কোনো সমাজে শান্তি বজায় রাখতে পারে না।

---

ক্ষুদ্রঋণ দেখিয়েছে যে আপনি কীভাবে লোকেদের কাছে পৌঁছাতে পারেন যা প্রচলিত ব্যাংকিং করতে পারে না। এটি প্রমাণ করেছে যে এটি একটি কার্যকর প্রস্তাব।

---

চাকরিদাতার মতো আচরণ করুন কে আপনাকে বলেছে চাকরির কথা? আপনার শিক্ষক বলেছে না টেক্সট বইয়ে চাকরির কথা লেখা আছে? চাকরির কথা ভুলে যান। চাকরির চিন্তা পুরাতন আমলের ধ্যান ধারণা। এটা থেকে বের হয়ে আসুন। নিজেকে বার বার বলুন আমি চাকরি প্রার্থী নই, আমি চাকরি দাতা এবং সেই মোতাবেক চিন্তা আর আচরণ করুন। আপনি দেখবেন আপনার কাজে অসাধারণ পরিবর্তন এসেছে এবং পরিবর্তনের সুচনা হয়েছে আপনার মাথা আর চিন্তা চেতনা থেকে। আমরা সবাই জন্ম থেকেই উদ্যোক্তা এবং সবার মধ্যে উদ্যোক্তা হবার মতো যোগ্যতাও আছে। এটা আমাদের ডিনএতে আছে এবং এই ক্ষমতা ব্যবহার করেই মানুষেরা এত বছর ধরে এই পৃথিবীতে বসবাস করছে। আমরা যখন গুহাতে থাকতাম তখন আমরা এক গুহা থেকে আরেক গুহাতে চাকরি খুজতাম না। মানুষ জীবনধারণের জন্য উদ্যমী আর সমস্যা সমাধানকারী ছিল, মানুষ জন্ম নেয়নি অন্যের হয়ে কাজ করার জন্য ভুলক্রমে আমাদেরকে চাকরি প্রার্থী বানিয়ে দেয়া হয়েছে। যখনি আপনি চাকরি করা শুরু করেন তখনি আপনি আপনার বিশাল সৃজনশীল ক্ষমতাকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে অনেক কম বানিয়ে ফেললেন।

---